শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার ওয়াগন

ফারুক আল শারাহ, লাকসাম

নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার ওয়াগন

কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশনে মালবাহী রেলের ওয়াগন পড়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। বছরের পর বছর ওয়াগনগুলো এভাবে পড়ে থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যেন কেউ নেই।

সূত্র মতে, বাংলাদেশের বৃহৎ কয়েকটি রেলস্টেশনের মধ্যে লাকসাম রেলওয়ে জংশনটি অন্যতম। লাকসাম হয়ে দেশের বিভিন্ন রুটে অসংখ্য যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এ স্টেশনের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে বিশাল অংশজুড়ে সবসময় মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন পড়ে থাকতে দেখা যায়। বর্তমানে এখানে অযতেœ-অবহেলায় ১৪টি ওয়াগন পড়ে আছে। যে অংশে ওয়াগানগুলো রাখা হয়েছে সে স্থানটি দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে ওই অংশটিতে আগাছা জন্মে ঝোপ-ঝাড়ে পরিণত নিয়েছে। রোদ-বৃষ্টিতে মরিচা ধরে এগুলো ধ্বংস হতে চলেছে। রেলওয়ে স্টেশনের সীমানা প্রাচীর না থাকায় প্রায় রাতেই চুরি ও খোয়া যাচ্ছে রেলের মূল্যবান সম্পদ। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ওয়াগনগুলোর ভিতরে অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারীদের নিরাপদ আস্তানা গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলের ব্যবহারের অনুপযোগী যেসব ওয়াগন রয়েছে তা একটি স্থানে রেখে সময় বুঝে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন এগুলো পড়ে থাকলে তা ক্ষয় হতে থাকে এবং মূল্য কমতে থাকে। পড়ে থাকা ওয়াগনগুলো দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়ার কথা থাকলেও কবে নাগাদ হবে জানা নেই কারো।

লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান তালুকদার জানান, পরিত্যক্ত এ সব ওয়াগনসহ রেলের যন্ত্রপাতির দেখাশোনার দায়িত্ব প্রধান ট্রেন পরীক্ষক ও প্রকৌশল বিভাগের। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।

লাকসাম রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রধান রেলযান পরীক্ষক মো. হাসিম উদ্দিন বলেন, ১৪টি মধ্যে ৮টি কনডেম হয়েছে বাকি ৬টি কনডেম হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। সবগুলো হয়ে গেলে দরপত্রের মাধ্যমে এ সব বিক্রি করা হবে। তবে কবে নাগাদ তা বলতে পারছি না।

সর্বশেষ খবর