শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শুকনো মৌসুমেও পদ্মায় ভাঙন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

শুকনো মৌসুমেও পদ্মায় ভাঙন

রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় শুকনো মৌসুমেও হঠাৎ পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। ছোট হয়ে আসছে জেলার আয়তন। জানা যায়, পাঁচটি উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী জেলা গঠিত। এর মধ্যে সদর, কালুখালী, পাংশা ও গোয়ালন্দ উপজেলা পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। প্রতি বছর পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের কবলে পড়ে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ছে। নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে শত শত একর ফসলি জমি। এদিকে হঠাৎ গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের কাওয়াজানি, হোসেন মোল্লার পাড়া, আজাহার মাতব্বার পাড়া, আজিজ সরদার পাড়া, নতুন পাড়া, বেপারী পাড়া ও ঢল্লাপাড়ার এলাকায় ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী গর্ভে চলে গেছে টমেটো, বেগুন, পেয়াজ-রসুন, শরিষা, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। 

নদীতে ভাঙনকবলিত মোবারক মুন্সি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস আছে। তবে বাস্তবায়ন নেই। যে কারণে প্রতি বছর পদ্মা নদীর ভাঙনে বসতি ও আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যায়। আর নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে গৃহহীন হয়ে রাস্তার পাশে বসবাস করছেন অনেকে। মজিবুর রহমান বলেন, এখন শুকনো মৌসুম। নদী শাসন করার উপযুক্ত সময়। কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে অসময়েও নদী ভাঙনে শত শত একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, জেলার পাংশার উপজেলার হাবাসপুর থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পদ্মার ভাঙন রয়েছে। এর মধ্যে পাংশার হাবাসপুর, কালুখালীর রতনদিয়া, শাহ মীরপুর, সদরের মিজানপুর ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও দেবগ্রামের বিভিন্ন স্থান ভাঙনকবলিত। এই ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিরোধের জন্য রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ডিপিপি প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে। যা অনুমোদন হলে মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর