শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আবারও সক্রিয় সিন্ডিকেট

ঝিনাইগাতি খাদ্য গুদাম

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামে ইতোপূর্বে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা সেই সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেটটি বর্তমান কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের কথা বলছে। হুমকিও দিচ্ছে। গুদামের ওসিএলএসডির (ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা) আয়মান বিনতে ফেরদৌস নূপুর বলেন, সরকারের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে চক্রের তোপের মুখে পড়েছি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার জানান, আমরা তো অনিয়ম দেখছি না। একজন কর্মকর্তা কাজ শুরুই করেননি অথচ তিনি দুর্নীতি করেছেন, তাকে বদলি করতে হবেÑ এটি প্রশ্নই আসে না। অভিযোগ কেউ করতেই পারে। সরকার দেখবে কর্মকর্তা আইনের মধ্যে আছেন কি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির সভাপতি রুবেল মাহমুদ জানান, চাল সংগ্রহে সিন্ডিকেটের তৎপরতা মেনে নেওয়া হবে না। সরকারি চাকরিতে বদলি আছে। বর্তমান ওসিএলএসডি যদি হুমকিতে থাকেন, তিনি চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া  হবে।  চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতীতে নূপুর যোগদান করেন। দায়িত্ব বুঝে নিতে গিয়ে দেখেন, ওই গুদামের বেশিরভাগ চাল নষ্ট। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে, ইউএনও ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পায় কমিটি। খাদ্য বিভাগ খাদ্য কর্মকর্তা বিকাশ দেবনাথকে গত ৮ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত ও অন্যদের বদলির আদেশ দেয়। দেবনাথের স্বীকারোক্তি মতে উপজেলার ১০ মিলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। সূত্র জানায়, ঝিনাইগাতীর মিল মাালিকদের একটি সিন্ডিকেট বিকাশ চন্দ্র দেবনাথের সঙ্গে যোগসাজশ করে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করে আসছিল। এরই ধারাবহিকতায় তারা নতুন এই কর্মকর্তাকে আগের মতো চাল গ্রহণ করতে চাপ দেন। কিন্তু বর্তমান কর্মকর্তা নূপুর আগের মতো নিম্নমানের চাল গ্রহণ করেননি। এতে অনেক প্রভাবশালীর চাল ফেরত যায়। এরপর থেকেই ওই চক্রটি নাখোশ হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর