শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কাউন্সিল কমিটির বিপরীতে পাল্টা কমিটি গঠন

নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ

নাটোর প্রতিনিধি

কাউন্সিল কমিটির বিপরীতে পাল্টা কমিটি গঠন

নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল কমিটির বিপরীতে পাল্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। গত ৮ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সভাপতি হিসেবে রঈস উদ্দিন রুবেল ও সাধারণ স¤পাদক হিসেবে তৌহিদুর রহমান লিটনের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে সভাপতি ও আইয়ুব আলী মন্ডলকে সাধারণ স¤পাদক করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও করা হয়। পাল্টা কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারণ স¤পাদক আইয়ুব আলী ম-ল জানান, এমপি শিমুল জেলা সভাপতিকে পাশ কাটিয়ে কাউন্সিলের নাটক করে কমিটি করা হয়েছে। যাকে সভাপতি করা হয়েছে সেই রঈস  উদ্দিন রুবেল বিডিআর বিদ্রোহের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যাকে সাধারণ স¤পাদক করা হয়েছে তিনি মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাই এমন কমিটি উপজেলার ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রত্যাখ্যান করে ওই দিন রাতেই পাল্টা কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে সবার সমর্থন রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে জানা যায়, তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতে দলের সক্রিয়ভাবে কর্মকান্ড পরিচালনাকারী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু জানান, নলডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ গত উপজেলা কাউন্সিলে সভাপতি পদে একজন প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ১২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আসাদ আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো পদেই নেই বা দলের কোনো নীতি দির্ধারকও নন। তাই আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি গঠন করার ক্ষমতাও তার নেই। সৈয়দ মোর্তজা আলী বাবলু বলেন, গত কাউন্সিলে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সভাপতি হিসেবে রঈস উদ্দিন রুবেল ও তৌহিদুর রহমান লিটনকে সাধারণ স¤পাদক হিসেবে ঘোষণা করে যে কমিটি দেয়া হয়, প্রকৃত পক্ষে সেটিই বৈধ কমিটি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, রুবেল জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। অপরদিকে লিটনও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা। উপস্থিত কাউন্সিলরদের সমর্থনের মাধ্যমেই তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে; কিন্তু আসাদের নেতৃত্বে যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তারই কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। বিষয়টি স¤পর্কে জানতে চাইলে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি জানান, নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তিনি ছিলেনই না। তবে আসাদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামি থাকতে পারবে না-এটা প্রধানমন্ত্রীসহ দলীয় নির্দেশনা রয়েছে। তার পরও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগই সিদ্ধান্ত নেবে কোন কমিটি বৈধ।

সর্বশেষ খবর