শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অপরিকল্পিত ভবনে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

কুমিল্লা নগরীতে সহস্রাধিক অপরিকল্পিত ভবন, ৭০০টি শনাক্ত করেছে কুসিক

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লা নগরীতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হচ্ছে সহস্রাধিক বহুতল ভবন। এসব ভবন অগ্নিকা- ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে ৭০০ অপরিকল্পিত ভবন শনাক্ত করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)। নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ায় গত ২৭ ডিসেম্বর নির্মাণাধীন একটি ভবনের তিনতলার ছাদ ধসে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪ জন। জানা যায়, সরকারি খাস জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে এই বহুতল ভবন। কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু জানান, ১৯৬২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ভবন মালিকপক্ষ ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছিল জমিটি। খাস জমির ওপর ভবন নির্মাণের জন্য কুসিক প্রথমে অনুমোদন দেয়নি। পরে মালিকপক্ষ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং হাই কোর্টের রায় নিয়ে এলে সিটি করপোরেশন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বসে ছাড়পত্র দেয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিন্টু বেপারী বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে হতাহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কুসিকের প্রকৌশল বিভাগের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীতে নির্মাণাধীন ৪৯৫টি ভবন নকশাবহির্ভূত। বিনা অনুমতিতে নির্মিত হচ্ছে ১৯৫টি বহুতল ভবন। এ ছাড়া অতি পুরাতন এবং ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৯৫টি। অভিযোগ আছে, কুসিকের নিয়মনীতি এবং অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, ‘নগরীতে নকশাবহির্ভূত এবং বিনা অনুমতিতে ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ১০ জানুয়ারির পর অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল কুমিল্লা নগরীর নকশাবহির্ভূত নয়টি ভবনের কাজ বন্ধ করে দেয় কুসিক। পরবর্তীতে ওই নয়টিসহ ১৯টি ভবনে লাল নোটিস লাগানো হয়। নোটিস লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যে ওই নোটিস পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয় ভবন কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ খবর