দিনাজপুরের দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর ওপর কোনো ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকিতে পার হচ্ছে নদীর দুই পাড়ের কয়েক গ্রামের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। বাঁশের সাঁকো দিয়ে দিনের পর দিন ঝুঁকিতে মানুষ চলাচলের পাশাপাশি আশপাশের গ্রামের উৎপাদিত পণ্য মাথায় নিয়ে পারাপার হয়। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও ব্রিজটি আজও নির্মাণ হয়নি। বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন ও নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে গেছে নলশীষা নদী। দুই উপজেলার সংযোগস্থল নদীর লালঘাট নামক স্থানে নেই কোনো ব্রিজ। তাই নিজেদের প্রয়োজনে শত শত ভুক্তভোগী মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে পণ্য পরিবহনে হচ্ছে ভোগান্তি। নদীটির দুই পাশে প্রায় ১৭টির মতো গ্রামে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা লালঘাটে প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো বানিয়েছেন। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা জানায়, বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে ভয় লাগে। বর্ষাকালে সাঁকোটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্কুলে যেতে সমস্যা হয়।