রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বীজতলা নিয়ে বিপাকে কৃষক

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে প্রচন্ড ঠান্ডায় বোরোর বীজতলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। অনেক বীজতলা ইতোমধ্যে হলুদ হয়ে গেছে। অনেক চাষি সাদা পলিথিন দিয়ে ঢেকে কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করছেন। জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। কৃষি বিভাগ বলছে, রাতের কুয়াশার পর দিনে সূর্য তাপ ছড়ানোয় বীজতলার তেমন ক্ষতি হবে না।

জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের শাপলাপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি বীজতলা তৈরি করেছেন ১৫ দিন আগে। কয়েকদিনের ঘন কুয়াশায় বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এভাবে কিছু দিন চললে পুরো বিজতলাই নষ্ট হয়ে যাবে। দোগাছি গ্রামের ইসমাইল হোসেন                জানান, শৈত্যপ্রবাহের আগে বীজতলায় বীজ ছিটিয়েছি। চারা গজিয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশার কবরে পড়ে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছি।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, জেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৬ মেট্রিক টন চাল। ওই পরিমাণ জমি আবাদে চার হাজার ১৫০ হেক্টরের বীজতলা প্রয়োজন। এ পর্যন্ত বীজতলা তৈরি হয়েছে তিন হাজার ৮৬৯ হেক্টর। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘টানা এক সপ্তাহের বেশি শৈত্যপ্রবাহ হলে বীজতলার ক্ষতি হয়। এবারের শৈত্যপ্রবাহের স্থায়িত্ব কম হওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে রাতে কুয়াশা থাকলেও দিনে সূর্য তাপ ছড়াচ্ছে। কোনো বীজতলা হলুদ হলেও তা সেরে উঠবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর