শিরোনাম
সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় ‘কিশোর গ্যাং’ আতঙ্ক

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় ‘কিশোর গ্যাং’ আতঙ্ক

কুমিল্লায় দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং কালচার। গত বছর জিলা স্কুল ও মডার্ন স্কুলের কিছু শিক্ষার্থীর ওপর কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক হামলা হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থীর। কিশোরদের বেপরোয়া আচরণ এখন পাড়া-মহল্লাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে ইভ টিজিং, নিজেদের মধ্যে মারধরে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তারা খুনোখুনিতে জড়াচ্ছে। সম্প্রতি মুরাদনগর উপজেলা সদরের ডিআর উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজী নোমান আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজ ঘিরে কয়েকটি কিশোর গ্যাং সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কোনো শিক্ষার্থীর জন্মদিন শুনলে তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গাছ অথবা ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে গেঞ্জি শার্ট ছিঁড়ে মাথায় ডিম, আটা ও রং মাখিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তাদের বীভৎস আনন্দে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।

গত ১২ ডিসেম্বর দশম শ্রেণির ছাত্র তারেকুল ইসলামকে গোমতী নদীর পাড়ে গাছে বেঁধে মাথায় ডিম-আটা মাখিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। তারেকুলের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। শুধু তারেকুল নয়, গত ২২ দিনে একইভাবে জন্মদিনের নামে নির্যাতনের শিকার হয়েছে দশম শ্রেণির রুহুল আমিন, নাইম, মাহাদি, ছাব্বির, রাজবির হোসেন রবিন, নবম শ্রেণির মাহিদুল ও কলেজছাত্র হৃদয়, নিজাম, নিশাত। নির্যাতনের শিকার সবাই মুরাদনগর ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজী নোমান আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। নির্যাতনের ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, গ্যাং গ্রুপের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। গ্যাংয়ের কোনো কোনো সদস্যের অভিভাবক প্রভাবশালী ও পরিচিত মুখ। আবার অনেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অপরাধ করলেও কেউ এদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। মুরাদনগর থানার ওসি মনজুর আলম বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছোটখাটো অপরাধ করতে করতে বড় অপরাধে জড়িয়ে যেতে পারে। এদের সংশোধন করতে সর্বপ্রথম অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। খোঁজ নিয়ে অভিযুক্ত ও তাদের অভিভাবকদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হবে। তাতে কাজ না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর