বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অকাল বৃষ্টিতে ফসলহানি

তলিয়ে গেছে খেত, মরছে তরমুজ-মুগ ডালের চারা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

অকাল বৃষ্টিতে ফসলহানি

চারা গজানোর আগেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে তরমুজ খেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলার সর্বত্রই হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে তরমুজের চারা, বপন করা বীজ নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে রবি শস্যের জন্য তৈরি করা মাঠ। এ অবস্থায় জেলায় এ বছর রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ২ জানুয়ারি থেকে জেলায় মোট ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত বছর তরমুজের আবাদ হয়েছিল ২১ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমিতে। আর বাংলাদেশে মোট মুগ ডাল উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ হয় পটুয়াখালীতে। গত বছরখানে মুগ ডাল আবাদ হয়েছে ৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে। যার আবাদ এ বছর আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অসময়ের বৃষ্টিতে মুগ চাষ অন্তত ১০-১৫ দিন পিছিয়ে পড়েছে। ফলে যখন ডাল তোলার সময় হবে তখন বর্ষা মৌসুম এসে যাবে। মাঠ থেকে তোলার আগে বৃষ্টি শুরু হলে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে চাষিরা। এছাড়া রবি মৌসুমে ১৬ হাজার ৯২৬ হেক্টর জমিতে খেসারি আবাদ করা হয়েছে। যা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষকরা জানান, বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে অংকুরিত তরমুজের অধিকাংশ চারা নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় তরমুজ আবাদের জন্য মাঠ প্রস্তুতসহ বীজ বপন করতে এ বছর দ্বিগুণ টাকা খরচ হবে। বৃষ্টির কারণে আবাদ পিছিয়ে পড়লে ফলন তোলার সময় আবার আগাম বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি মাঠে ঢুকে ফল নষ্ট হবে।  পটুয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ^র দত্ত জানান, বৃষ্টিতে রবি ফসলের কিছুটা ক্ষতি হবে। যে সব এলাকায় তরমুজের মাঠে পানি জমেছে সে এলাকার চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বৃষ্টির কারণে মুগ চাষ  পিছিয়ে পড়েছে। মুগের ফলন তোলার সময় আগাম বৃষ্টি বা জোয়ারের পানি মাঠে প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর