সিজারকে না বলুন আর নরমাল ডেলিভারিকে হ্যাঁ বলুন প্রতিষ্ঠা করতে গর্ভবতী মায়েদের জন্য সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সংখ্যা খানসামায় শতভাগ, ফলে মা ও শিশু মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যের কোঠায় দাঁড়িয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।

জানা যায়, প্রেগন্যান্সি ম্যাপের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের ডাটাবেজ তৈরি করে গর্ভবতী মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী মানসম্মত ও মর্যাদাপূর্ণ এএনসি সেবা ও প্রসব পরবর্তী পিএনসি সেবা দেওয়া হয় এবং গর্ভবতী মায়েদের যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, বিনামূল্যে প্রসাব ও রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা ও ফ্রি আয়রন আর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট প্রদান করা হয় এবং প্রতি ইউনিয়নে প্রেগন্যান্সি ‘মাদারস ক্লাব’ এর উঠান বৈঠক ও গর্ভবতী মা সমাবেশের মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি করতে উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও ব্যতিক্রমী উদ্যোগগুলো হল, গর্ভবতী মায়েদের যেকোনো প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন সার্ভিস চালু আছে, প্রসবকালীন জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও নিরাপদ প্রসবের জন্য সারাক্ষণ মিডওয়াইফ প্রস্তুত থাকা, সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে নবজাতক শিশুদের উপহার সামগ্রী ও শিশুদের জন্মসনদ প্রদান করা হয়। এতে খানসামা উপজেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের আস্থা ও সেবাগ্রহিতার সংখ্যা বাড়ার ফলে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গত বছরে রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়।