শিরোনাম
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ফসলহানির শঙ্কায় কৃষক

ডিঙ্গাপোতা হাওরে জলাবদ্ধতা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

ফসলহানির শঙ্কায় কৃষক

নেত্রকোনায় হাওরে জলাবদ্ধতার কারণে ফের ফসলহানির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এ কারণে অনেক জমিই এবার অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এ জন্য অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণকে দায়ী করছে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। গত ২০১৭ সালের অকাল বন্যার পর থেকে জমি পত্তন (টংক) দেওয়াও কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। হাওর থেকে পানি না সরার পৌষ মাস পুরোটাই ভেস্তে গেছে কৃষকদের। তাই মাঘ মাসেই কৃষকদের চারা রোপণ করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার হাওরাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম ডিঙ্গাপোতা। বোরো ধান উদ্বৃত্ত এই এলাকা। কিন্তু এবার হাওর থেকে পানি না নামায় কৃষকরা সময়মতো চারা রোপণ করতে পারেননি। সম্পূর্ণ পানি নামার পর চারা রোপণ করলে ফলন ধরতে ধরতেই আবারও হাওরে পানি প্রবেশ করে ফসলহানির আশঙ্কা কৃষকদের। গত কয়েক বছর ধরে এমনটি হওয়ায় অনেক জমিই এখন পতিত থাকে। দিনে দিনে অনেক কৃষক অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।  এলাকার গৌতম, অনুপ, কৌশিক তালুকদারসহ অনেক কৃষক জানান, বাঁধ নির্মাণে কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা সময় মতো গেট খোলা বা বন্ধ করে না। জমি পত্তন ১২০০ টাকা থেকে নেমে ৫০ টাকা কাঠায় চলে এসেছে। তার ওপর ধানের মূল্য কম এবং শ্রমিকের মজুরি বেশি। সব মিলিয়ে অনেক কৃষক নিঃস্ব হয়ে কৃষি কাজই ছেড়ে দিয়েছে। পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী বজলুর রহমান বলেন, সাগরের পানির লেবেল এখনো অনেক উপরে। তাই হাওরের পানি নামতে দেরি হচ্ছে। তবে তারা নদী খনন কাজ করে যাচ্ছেন।

নেত্রকোনার কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বিএডিসি ও পাউবোর অপরিকল্পিত স্লইস গেইট নির্মাণকে দায়ী করে বলেন, পাউবোর নানা ত্রুটির জন্য হাওরের এই সমস্যা। এছাড়া সময়মতো স্লুইস গেট খোলা বা বন্ধ করা হয় না। এ বছর জেলার মোট আবাদি জমি ২৭৯৪৩৮ হেক্টরের মধ্যে পতিত রয়েছে ৪০৯৭০ হেক্টর। তার মধ্যে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮৩৮৭০ হেক্টর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর