রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

‘স্টিমার চলবে করতোয়ায়’

২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাবান্ধা রেললাইন সম্প্রসারিত হবে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যেখানে যা দরকার সরকার সেখানে তাই করবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের নৌপথগুলোকে সংস্কার করা হচ্ছে। এর জন্য নদী-খাল খনন করা হচ্ছে। ১০  হাজার কিলোমিটার নৌপথকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে করতোয়া নদীকে জাহাজ চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। সরকার এ সম্পর্কিত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় উপদেষ্টা কমিটির দ্বিতীয় সভায় এসব কথা বলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাবান্ধা রেললাইন সম্প্রসারিত হবে। বাংলাবান্ধা সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। কারণ এ বন্দর চারটি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ এজেন্ট, শ্রমিক এবং বন্দর-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতামত শোনেন। বক্তারা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সম্ভাবনাময় এ স্থলবন্দর আরও সম্প্রসারিত করা দরকার। এ ছাড়া ওজন মেশিন বাড়াতে হবে। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। যত্র-তত্র অপরিকল্পিত অবকাঠামা গড়ে তোলা বন্ধ করাসহ ১০টি লিখিত প্রস্তাবনা দেয় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন। এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার দে বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরও ৪০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

 এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, কাস্টম কমিশনার (রংপুর) শওকত আলী সাদী, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির সিও লেপটেন্যান্ট কর্নেল আনিসুর রহমান, বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্টের জিএম হাবিবুর রহমান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, এক নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরতি খুদা মিলন, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আক্তারুল ইসলাম প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর