খাল দখলে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কুমিল্লার ১০ সহস্রাধিক একর ধানি জমি। জলাবদ্ধতার কারণে বোরো ধান চাষে বিঘ্ন ঘটছে। ধান লাগানোর এখন শেষ সময় হলেও অনেক জমির পানি এখনো সরছে না। বিশেষ করে লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় এই সমস্যা প্রকট। কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই অঞ্চলের প্রায় ৫০ ভাগ খাল দখল হয়ে গেছে। কোথাও খাল দখল করে মাছের ঘের, বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় খাল ভরাট করে জমির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নের নলুয়ার খাল বিভিন্ন স্থানে দখল হয়ে গেছে। এতে তার দুই পাশের সহস্রাধিক একর জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। এতে রামপুর, চন্দনা, মনপাল, তপৈয়া, রাজাপুর, খিলা গ্রামের কৃষকরা বেকায়দায় পড়েছে। এই খালটির তপৈয়ার দিকে সংযোগ খাল বিভিন্ন স্থানে দখল হয়ে গেছে। মনপাল দিঘির উত্তরপাড়ের খাল পুরো দখল হয়ে গেছে। দক্ষিণ দিকের খাল ৮০ ভাগ দখল হয়ে গেছে। মনপাল গ্রামের কৃষক সহিদ উল্লাহ বলেন, ‘অনেকে খাল ভরাট করায় জমির পানি সরছে না। বোরো লাগানোর সময় চলে যাচ্ছে।’ উত্তরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, ‘নুলুয়ার খাল ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমাদের নলেজে রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এই এলাকায় খাল খননের কর্মসূচি পাওয়া যাবে।’ লাকসাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল হক বলেন, ‘অনেক মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে খাল ভরাট করছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে ধান উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে।’ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ বলেন, ‘লাকসামে পাঁচটি খাল খননের কর্মসূচি রয়েছে। নলুয়ার খাল এবার খননের আওতায় না আসলে পরবর্তী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
