বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বাঁশমালীদের সংগ্রামী জীবন

আব্দুর লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

বাঁশমালীদের সংগ্রামী জীবন

বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য -বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘বাঁশের দাম কম ছিল পাঁচ বছর আগেও। ৫০০ টাকার বাঁশ কিনে সেই বাঁশ দিয়ে চাটাই, খাঁচা, বিটে, পলো, কুলা, পাখা, ডালি, হাঁস-মুরগি রাখা টোপাসহ নানা পণ্য তৈরি করে তা দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত। এখন সেদিন নেই। একদিকে বেড়েছে বাঁশের দাম অন্যদিকে কমেছে বাঁশের তৈরি পণ্যের চাহিদা। বর্তমানে মজুরির টাকা বের করা সম্ভব হয় না আর।’ কথাগুলো বলছিলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামের বাঁশমালি গোলাপ রায়। বাঁশমালিরা জানান, কৃষি কাজের পাশাপাশি বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে বড়বাড়ী গ্রামের প্রায় ৫০ পরিবার। বিভিন্ন ফসল তোলার মৌসুমে ডালি, কুলা, ঝাড়ুসহ বাঁশপণ্যের চাহিদা থাকে। এ সময় কৃষি কাজের ব্যস্ততা দ্রুত শেষ করে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ সব পণ্য তৈরিতে। স্বামী-স্ত্রীর পাশাপাশি পরিবারের সবাইকেই ব্যস্ত থাকতে হয় এ কাজে। বাঁশমালী গোলাপ রায় জানান, বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রি করে অতিকষ্টে ছেলেকে পড়ালেখা করাচ্ছি। ছেলে এবার অনার্স তৃতীয় বর্ষে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে পড়ে। লেখাপড়া শেষে সে একটা ভালো চাকরি করে আমাদের এ কষ্ট লাঘব করবে এমন স্বপ্ন দেখছি। আরেক বাঁশমালী খুদিরাম শাহা জানান, বাঁশের পণ্য ছাড়া অন্য কাজ জানা নেই তার। তাই পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে এটা করতে হচ্ছে। জানা যায়, বংশ পরম্পরায় পাওয়া এ পেশায় পাঁচ বছর আগেও আর্থিক সচ্ছলতা ছিল। প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্য বাজারে আসার কারণে কমে গেছে বাঁশের তৈরি পণ্যের চাহিদা। অন্যদিকে প্লাস্টিক পণ্যের দামও বাঁশপণ্যের চেয়ে কম।

সর্বশেষ খবর