শিরোনাম
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সুগার মিলের সরবরাহ করা সার নিয়ে বিপাকে আখচাষিরা

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

সুগার মিলের সরবরাহ করা সার নিয়ে বিপাকে আখচাষিরা

সুগার মিলের সররবাহ করা বস্তায় জমাটবদ্ধ সার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফরিদপুরের মধুখালীতে অবস্থিত ফরিদপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা ইউরিয়া সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আখচাষিরা। এই সার জমিতে প্রয়োগের পর সুফল পাওয়া-তো দূরের কথা উল্টো ফসল নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। অথচ মৌসুম শেষে এই নষ্ট সারের দাম চাষিদের সুদে-আসলে পরিশোধ করতে হবে। বিষয়টি চিনিকল কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে চাষিরা ক্ষতির পাশাপাশি চিনিকলে আখ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার শঙ্কা প্রকাশ করছেন। ফরিদপুর চিনিকল সূত্র জানায়, এই চিনিকলে তালিকাভুক্ত আখচাষি রয়েছেন প্রায় ৫ হাজার। চলতি মৌসুমে ১০ হাজার একর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চাষিদের মধ্যে ৪৫০ মেট্রিকটন ইউরিয়া বিতরণ করা হয়। মিল কর্তৃপক্ষ চাষিদের ইউরিয়া ছাড়াও টিএসপি ৪০০ মেট্রিকটন এবং এমপিও সার ২৫০ মেট্রিকটন বিতরণ করে। আখচাষিদের অভিযোগ, এবারের সরবরাহ করা ইউরিয়া সারের এক-চতুর্থাংশ জমাটবদ্ধ ও কালচে। অনেক বস্তায় ময়লাযুক্ত ও নষ্ট সার রয়েছে। যা একবারে ব্যবহারের অনুপযোগী। অনেকেই এই সার ব্যবহার না করে দোকান থেকে সার কিনে জমিতে দিচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, ব্যবহার না করা এ সার তাদের ঘরেই পড়ে আছে। চিনিকল কর্তৃপক্ষ ফেরত নিচ্ছে না। আখচাষি আব্দুর রহমান বলেন, আখ চাষের জন্য তাদের মধ্যে ঋণ স্বরূপ ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হয়। বস্তাভর্তি সার বাড়িতে নিয়ে খোলার পর তাতে বড় বড় পাথরের খন্ড পাওয়া গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, চিনিকলে ফেরত দিতে গেলে এই সার তারা ফেরত নেয়নি। বলেছে, নিলে নাও না নিলে ফেলে দাও। কুদ্দুস, আলেয়া ও আইয়ুবসহ কয়েকজন আখচাষি জানান, এই সারতো আমাদের বিনামূল্যে দেয়নি। উল্টো সারের টাকার সঙ্গে সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ফরিদপুর চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। এতে আখচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি উৎপাদনও কমবে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। পাশাপাশি ব্যবহার অনুপযোগী সার সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত হোক।’ ফরিদপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল বারী বলেন, ‘যে সার আখচাষিদের বিতরণ করা হয়েছে তার মধ্যে কিছু ছিল পুরাতন। সেই সার জমাট বেঁধেছে। কিন্তু গুণগত মান নষ্ট হয়নি।’

সর্বশেষ খবর