রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল

গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা

চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে  গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল

গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে রয়েছে চিকিৎসক সংকট। এনেসথেসিয়া বিভাগ ছাড়া বাকি নয়টি বিভাগের নেই কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। চিকিৎসা না নিয়েই প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। রোগীর ওয়ার্ড, টয়লেট, বাথরুম, বিছানা নোংরা হওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখানে সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি, শিশু, ইএনটি, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওলজি, অর্থোসার্জারি বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। হাসপাতালে ৪২ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৮ জন। আবাসিক চিকিৎসকের পদও শূন্য। জরুরি বিভাগ সামলাচ্ছেন মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার। শিশু ও কার্ডিওলজিস্ট বিভাগে আছেন একজন করে জুনিয়র কনসালটেন্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জেলার প্রায় ২৬ লাখ জনগোষ্ঠীর আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০৩ সালে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১৬ সালে এটি ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও লোকবল ও অবকাঠামো রয়েছে ১০০ শয্যারই। হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামের জন্য রোগীদের যেতে হয় বাহিরে। আর ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনে নানা সমস্যা থাকায় সেগুলো দীর্ঘদিন থেকে অকেজো। সরেজমিনে দেখা যায় হাসপাতালজুড়ে নোংরা পরিবেশ। টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। ওয়ার্ডে সুইপার দিনে একবারে এসে কোনোরকম ঝাড়ু দিয়ে চলে যায়। ময়লা জমে মেঝে ও দেয়াল কালো রং ধারণ করেছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, চিকিৎসক সংকটে ইনডোরে গড়ে ৩০০ ভর্তি রোগী এবং বহির্বিভাগে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক রোগীর সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় মেডিসিন, ইএনটি, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, অর্থোপেডিক্স বিভাগে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর পুরাতন অবকাঠামোর কারণে টয়লেট, ড্রেন এ সবের সমস্যা রয়েছে। গাইবান্ধা যুব নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউল হক জনি বলেন- ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে মনে হয় এটি কোনো হাসপাতালই নয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর লোক নিরুপায় হয়ে এখানে আসেন। যাদের ন্যূনতম সামর্থ্য আছে তারা এখানে আসেন না।’ 

সর্বশেষ খবর