সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

গাঁজার প্যাকেট পায়ের কাছে ফেলে ব্যবসায়ীকে হয়রানি!

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার বরুড়ায় গাঁজার প্যাকেট পায়ের কাছে ফেলে ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে থানার দুই এএসআই খলিল ও ইসমাইলের বিরুদ্ধে। বরুড়ার শাকপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বরুড়ার শাকপুর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবাদ হোসেনও পুলিশের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। গতকাল বিকালে শাকপুর নতুন বাজার এলাকায় হয়রানির শিকার শাকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদ আহম্মেদ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত ২০ জানুয়ারি রাত ৯টায় পুলিশের তিন সদস্য, আবাদ মেম্বার ও  স্থানীয় কিছু লোক তার মুরগির খামারে প্রবেশ করে অনুসন্ধান শুরু করে। এ সময় খামার কর্মী  শিপনকে মাদকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিছুক্ষণ শিপনকে নিয়ে পাশের বাড়িতে নিয়ে যায়। বিভিন্ন লোকের উপস্থিতিতে ওই বাড়ির উঠান থেকে তিন প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করে। পরক্ষণে গাঁজার প্যাকেটগুলো থেকে একটি গাঁজার প্যাকেট ফরিদ আহম্মেদের পায়ের কাছে ছুঁড়ে মারে। এ সময় বরুড়া থানার এএসআই ইসমাইল, এএসআই খলিলসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে অটো রিকশায় উঠিয়ে কিছুদূর গিয়ে গাড়ি থামায়। রাস্তায় আবাদ মেম্বার ফরিদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় পুলিশি হয়রানির ভয় দেখিয়ে তিন ধাপে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা ও খামার কর্মী শিপনের একটি খাশি নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। এ নিয়ে তিনি পুলিশ সুপার অফিসে অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত এএসআই খলিল ও ইসমাইলের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত মেম্বার আবাদ হোসেন অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বরুড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন,  ‘অভিযুক্ত এএসআই খলিল ও ইসমাইলকে ক্লোজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল স্যার তদন্ত করছেন।’

সদর দক্ষিণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল বলেন, ‘এএসআই খলিল ও ইসমাইলকে ক্লোজ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

সর্বশেষ খবর