বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

লাকসামে ওষুধের বাজারে অস্থিরতা, ক্ষুব্ধ ক্রেতা

লাকসাম প্রতিনিধি

কুমিল্লার লাকসামে ওষুধের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কোম্পানিগুলো মূল্যবৃদ্ধি না করলেও স্থানীয় ফার্মেসি মালিকরা ওষুধের দাম বাড়িয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে ক্রেতারা চরম ক্ষুব্ধ। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। প্রায় সব ক্যাটাগরির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখানে রয়েছে। এখানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন থেকে সর্বোচ্চ ছাড়ে ওষুধ বিক্রি হলেও বাংলাদেশ ক্যামিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির লাকসাম উপজেলা শাখার সিদ্ধান্তক্রমে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা) মূল্যে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ফার্মেসিগুলো প্যাকেটে থাকা এমআরপি মূল্যে বিক্রি শুরু করে। এ নিয়ে প্রতিটি ওষুধের দোকান মালিক-কর্মচারীর সঙ্গে ক্রেতাদের প্রতিনিয়ত তক-বিতর্ক হচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে লাকসাম বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীরা নামিদামি কোম্পানির ওষুধ এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা) মূল্যের চেয়ে ৯% থেকে ১০% কমে ওষুধ বিক্রি করত। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে সর্বোচ্চ ছাড়ে ওষুধ বিক্রির লক্ষ্যে লাকসাম বাইপাসে মানববন্ধন হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন।

 বাংলাদেশ ক্যামিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির লাকসাম উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাসান সমিতির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তক্রমে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করার কথা বললেও কুমিল্লা শহর কিংবা আশপাশের কোথায়ও এখনো তা কার্যকর হয়নি। এমনকি বাংলাদেশের কোথায়ও তা কার্যকর হয়নি বলে জানা গেছে।  লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবারক উল্লাহ কায়েস বলেন, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে ওষুধ বিক্রির বিষয়টি কেউ আমাকে অবহিত করেনি। 

লাকসাম পৌর মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের বলেন, বিষয়টি আমাকে কয়েকজন নাগরিক অবহিত করার পর আমি স্থানীয় ক্যামিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দকে জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পূর্বের ন্যায় বিশেষ ছাড়ে ওষুধ বিক্রির বিষয়ে অনুরোধ করেছি।

সর্বশেষ খবর