শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সেই তুফান সরকারসহ ১০ জনের বিচার শুরু

মা-মেয়েকে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ভালো কলেজে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে বিচারের নামে ধর্ষিতা ও তার মাকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করার মামলার আসামি তুফান সরকারসহ ১০ জনের বিচার কাজ শুরু হয়েছে। বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক একেএম ফজলুল হকের আদালতে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে বুধবার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশ দিলে এই বিচার কাজ শুরু হয়।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. নরেশ মুখার্জি বলেন, বুধবার ছাত্রী ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনার মামলাটির বিচারিক কাজ শুরু হয়েছে। মামলা দতন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর তুফান সরকারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এক আসামি পলাতক থাকায় চার্জ গঠন বিলম্বিত হয়। দুই মাস আগে পলাতক আসামি গ্রেফতারের পর চার্জ গঠনে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। তুফান সরকার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তুফানের স্ত্রী তাছমিন রহমান ওরফে আশা, আশার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান ওরফে রুমকি, আশার মা লাভলী রহমান ওরফে রুমি, তুফানের সহযোগী আতিকুর রহমান ওরফে আতিক, মুন্না, আলী আযম দীপু, মেহেদী হাসান ওরফে রুপম, সামিউল হক ওরফে শিমুল ও এমারত আলম খান ওরফে জিতু। মামলাসূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুরের বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই একই এলাকার এক ছাত্রীকে ভালো কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তার বাসায় ডেকে নেয়। সেখানে ওই ছাত্রীকে সে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হলে ২৮ জুলাই তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন মার্জিয়া হাসান রুমকি মীমাংসার নামে শিক্ষার্থী ও তার মাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে নির্যাতনের পর মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে ছেড়ে দিলে অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর