রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

লাথি দিয়ে রাস্তায় ফেলে গাড়ি চাপা দেয় ছিনতাইকারীরা

মহাসড়কে থেঁতলানো লাশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

দুর্ঘটনা নয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ছিনতাইকারী চক্রের হাতেই খুন হয়েছেন মোক্তার হোসেন সৈকত। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার আবদুল ওয়াহেদের ছেলে। প্রথমে এটি সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে থানায় জিডি হলেও পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে খুনের রহস্য বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় পিবিআই তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। একই দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পিবিআই-প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমান গনি। গ্রেফতাররা হলেন- ফেনী সদরের আবুল হাসনাত, হাফিজুর রহমান সাইফুল ও কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার রাসেল। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২১ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরশ্বানী বাজার এলাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশ মাথা ও মুখমন্ডল থেঁতলানো অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশনের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ সময় লাশের বাঁ হাতে কাটা দাগ দেখে হত্যাকা হিসেবে ধরে তদন্ত চালায় পিবিআই। ঘটনার ১৬ দিন পর তারেক, সাইফুল ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমান গনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছেন তারা মহাসড়কে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তারা প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বের হন। ওই রাতে ফেনী থেকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার পর্যন্ত মহাড়কের কয়েকটি স্থানে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করেন। ফেনী ফেরার পথে রাত দেড়টার দিকে চৌদ্দগ্রামের মিরশ্বানী বাজার এলাকায় সড়কের পাশে সৈকতকে হাঁটতে দেখে তাকে প্রাইভেট কারে তুলে নেন। মারধর করে মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নিয়ে লাথি মেরে সড়কে সৈকততে ফেলে গাড়িচাপা দেন।

সর্বশেষ খবর