বগুড়ায় অজ্ঞাত যুবককে হত্যার পর লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। পরকীয়া প্রেমিককে শায়েস্তা করতেই নির্মম এ হত্যার পথ বেছে নেয় প্রেমিকা রুপালী। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী গলা কেটে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলে খুনিরা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে হত্যার পরদিন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত বাবা-মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- আব্দুর রহমান ও তার মেয়ে রুপালী। গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তি তুলে ধরে পুলিশ সুপার জানান, রুপালীর স্বামী দেড় বছর ধরে সৌদি আরব থাকেন। নিহত সেলিম এবং রুপালীর মধ্যে ছোট বেলায় প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের বিয়ে অন্যত্র হলেও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। রুপালীর স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর দুজনের পরকীয়া সম্পর্ক গভীর হয়। সেলিম রুপালীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে নাকচ করে। সেলিম আগে থেকেই তাদের একান্তে মেলামেশার দৃশ্য ভিডিও করে রাখে। রুপালী সেলিমকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে সেলিম ধারণ করা ভিডিও রুপালীর স্বামী ইকরামুলের কাছে পাঠায়। তাকে বিয়ে না করলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। এ সব নিয়ে রুপালী তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে সেলিমকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রুপালী তার বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করবে বলে মোবাইল ফোনে সেলিমকে ডেকে নেয়। সেখানে রুপালীর বাবা এবং তার তিন সহযোগী সেলিমকে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে লাশ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
