শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বনের জমি দখল করে গড়ে উঠছে স্থাপনা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী

মাসুদ হাসান বাদল, শেরপুর

বনের জমি দখল করে গড়ে উঠছে স্থাপনা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ের সরকারি জমি দখল চলছে অনেক আগে থেকেই। অভিযোগ আছে, অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বনের জমি দখল চলছে। এসব জমির কোথাও ভূমিহীনরা কোনো রকম ঘর তুলে থাকছে। বর্তমানে প্রভাবশারীদের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় সরকারি জমিতে গড়ে উঠছে দালান কোঠা। ফলে মূল্যবান গজারি-শাল বাগান এখন ধ্বংসের মুখে। অভিনব কায়দায় গজারি-শাল গাছ মেরে ফেলে সুযোগ মতো মরা গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। গাছ কেটে  কোনো রকম খালি করতে পারলেই আর সরকারি জায়গা থাকছে না। রাতারাতি কেউ  না কেউ বনে যাচ্ছেন জায়গার মালিক। খালি জায়গা দখল করে তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

কাংশা ইউনিয়নের এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এখানে বনের প্রায় ৫০০ একর জমি রয়েছে। কাংশার নওকুচি ও গান্ধিগাঁও এলাকায় করা হচ্ছে পাকা বাড়িঘর, রিকশার গ্যারেজসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। রাংটিয়া রেঞ্জের গজনীর বনাঞ্চলে এই অবৈধ দখলের ফলে কেউ কেউ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। সরেজমিনে জানা গেছে, যেভাবে পাহাড়ি জমি রাতারাতি দখল হচ্ছে, তাতে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ বনাঞ্চল বিলুপ্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই রেঞ্জে বন বিভাগের প্রায় ৮ হাজার ৮৮০ একর বনভূমির মধ্যে অন্তত ১ হাজার ৬০০ একর বনভূমির জায়গা দখলে চলে গেছে।

রাংটিয়া রেঞ্জ মৌজার ৮টি অংশ রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি মৌজায় এখন দখল চলছে রাতদিন। 

রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ও গজনী বিট কর্মকর্তা ইলিছুর রহমান জমি দখলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। রেঞ্জ কর্মকর্তার দাবি এখানে বনকর্র্মীরা আতংকে আছে। সরকারি স্বার্থ রক্ষা করতে গেলে গাল মন্দ ও জানের ভয় দেখানো হয়।

ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানিয়েছে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে নেতা বা প্রভাবশালী নয় আইন অনুসরণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর