রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

কাজে লাগছে না ৫০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

কাজে লাগছে না ৫০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি

অকেজো পড়ে আছে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। ১০০ শয্যার হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও নার্স ব্যতীত অন্য জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে  ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে আড়াইশ শয্যার এই হাসপাতাল। এ কারণে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী। শুধু লোকের অভাবে অব্যহৃত পড়ে আছে ৫০ কোটি টাকার সরঞ্জাম। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সিটিস্ক্যান, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, সি আর্ম এক্স-রে মেশিন, এমআরআই মেশিনসহ মূল্যবান ও অতিপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এখানে থাকার পরও কোনো কাজে আসছে না। বাধ্য হয়ে অধিক টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছে রোগীরা। হাসপাতালে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি জানান, এখানকার অনেকের ক্লিনিকের ব্যবসা রয়েছে। এক্স-রে, ইসিজি, ইকো সচল থাকার পরও এসব নষ্ট রয়েছে বলে দালালের মাধ্যমে রোগীদের ক্লিনিকে পাঠানো হয়। দুটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে হাসপাতালে কিন্তু চালক একজন। ফলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। যত্রতত্র ময়লা ফেলায় হাসপাতালটি পরিণত হয়েছে ভাগারে। সীমানা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের আবর্জনা সরাসরি হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরের ভিতর ফেলা হয়।

সরকার পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করলেও ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বেশিরভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। সুবিশাল ভবন করার পরও সিট না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হয় অনেক রোগীকে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি অল্পদিন ধরে দায়িত্ব নিয়েছি। এসে জানতে পারি শুধু প্রশিক্ষিত লোকের অভাবে সিটিস্ক্যান, এমআরআই, সি-আর্ম মেশিনসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ব্যবহার হচ্ছে না। তবে তিনি বলেন এসব মেশিন  সংযোজন করার প্রক্রিয়া চলছে।

অল্প দিনের মধ্যে এর সেবা কার্যক্রম শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর