সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বগুড়ায় আলুর ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় আলুর ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে কৃষিশ্রমিক, জমি তৈরি, সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যের কারণে আলুর উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। তাই উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন তারা। তবে ইতিমধ্যেই যারা আলু তুলেছেন তারা ন্যায্যমূল্য পেয়েছেন। আর যাদের আলু মাঠেই রয়েছে তারাও বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন।

গত বছরে আলুচাষে লোকসান হয়েছে। উৎপাদন খরচও তুলতে পারেননি অনেক কৃষক। হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেও লাভের মুখ দেখতে পারেননি তারা। এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় তারা আশায় বুক বেঁধেছেন। তবে শেষ মুহূর্তে এসে কী হবে তা বুঝতে পারছেন না তারা।

উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আয়রা, বেলতা, উচরং, মামুরশাহী, বিশালপুর ইউনিয়নের পানিসারা, কুসুম্বী ইউনিয়নের দারুগ্রাম, খুরতা, আমইন, দক্ষিণ আমইন, কেল্লা, পোশী, গোন্দইল, বেলঘরিয়া, জামুর- এসব গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন আলু তোলার কর্মযজ্ঞ চলছে। অনেক চাষি ইতিমধ্যেই আলু তুলে ফেলেছেন। আবার অনেকে আলু তোলার প্রস্তুতি হিসেবে গাছগুলোকে টেনে তুলে ফেলছেন।  উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে ২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। গত বছর আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৮৩০ হেক্টর। আর অর্জিত হয়েছিল ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর যা এ বছরের তুলনায় ২৩০ হেক্টর বেশি ছিল। তবে গত বছরে আলুখেতে ভাইরাস দেখা দিয়েছিল। তা ছাড়া দামেও মার খেয়েছেন কৃষক। তবে এবার তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি তাদের।

সর্বশেষ খবর