মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

তিন ফসলি জমিতে নতুন নতুন পুকুর

নওগাঁ প্রতিনিধি

তিন ফসলি জমিতে নতুন নতুন পুকুর

জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না এমন সরকারি নীতিমালা থাকলেও নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার তিন ফসলি জমিতে দেদারছে খনন করা হচ্ছে পুকুর। এতে জেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমি। ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় গত দুই বছরে কমপক্ষে ২৫০ বিঘা জমি পুকুরে পরিণত হয়েছে। একশ্রেণির ব্যবসায়ী কৃষকদের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে পুকুর খনন করে অতিরিক্ত মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করছেন। কৃষকরা না বুঝে নষ্ট করছেন ঊর্বর ফসলি জমি। অন্যদিকে পুকুর ব্যবসায়ীদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। জানা যায়, মহাদেবপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। শ্রেণিভেদে প্রায় সব জমিতে সারা বছর কোনো না কোনো ফসল আবাদ হয়। কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম না পাওয়ায় কৃষকরা প্রতি বিঘা জমি ১৪-১৮ হাজার টাকায় ৫-১০ বছর মেয়াদে লিজ দিচ্ছেন। সেসব জমিতে খননযন্ত্র বসিয়ে চারদিকে বাঁধ দিয়ে ৮-১০ ফুট গভীর করে কাটা হচ্ছে পুকুর। আবার মাটি প্রতিগাড়ি (ট্রাক্টর) ৩০০-৫০০- টাকায় বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে এ উপজেলায় পুকুর খননের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র বলেন, যেসব জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে তা প্রায় সবই ঊর্বর ফসলি জমি। এ জমিতে বোরো, আমনসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হয়। পুকুর খননের ফলে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেলেও ফসলি জমি হ্রাস পাচ্ছে। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি।

তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া যে কোনো জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা দন্ডনীয় অপরাধ। ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোকে ফসলি জমিতে পুকুর খননকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর