বুধবার, ৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

তবু বন্ধ হয়নি তামাক আবাদ

► স্বাস্থ্যঝুঁকিতে চাষিরা ► উর্বরতা হারাচ্ছে জমি

আবদুল বারী, নীলফামারী

তবু বন্ধ হয়নি তামাক আবাদ

স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মীরা নানাভাবে নিরুৎসাহিত করার পরও নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকায় আবাদ হচ্ছে তামাক। বোরো, ভুট্টা কিংবা গম চাষের জন্য বেশি উপযোগী এমন জমিতেও কম-বেশি তামাক চাষ হচ্ছে। চাষিরা বলছেন, তামাকে উৎপাদন খরচ কম, ভালো দাম এবং বিক্রির নিশ্চয়তা রয়েছে। অপরদিকে ধান আবাদে খরচ বেশি, দাম না পাওয়া এমনকি বিক্রি নিয়েও ঝামেলায় পড়তে হয়। অভিযোগ আছে, বিড়ি-সিগারেট কো¤পানিগুলোর লোভনীয় প্রস্তাবের কারণে তামাক চাষে আগ্রহ বাড়ছে। কোম্পানিগুলো বিনামূল্যে বীজ, বিনাসুদে ঋণ, সার, নগদ অর্থসহ তামাক ক্রয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। এমনটি তাদের প্রতিনিধিরা প্রতিনিয়ত তামাক চাষিদের খোঁজখবর রেখে সহযোগিতা করে আসছে। স্থানীয়রা জানান, অর্থ সংকটে থাকেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিরা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিড়ি-সিগারেট কো¤পানিগুলো ওই সব চাষিকে তামাক চাষে উৎসাহিত করেন। ফলে জেলায় তামাক আবাদ বেড়েই চলেছে। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ২৩ হেক্টর জমিতে তামাক আবাদ হয়েছে-যা গতবারের চেয়ে ৮৪ হেক্টর বেশি। কৃষি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তামাক চাষে কারগিল নামক সার প্রয়োগ হয়। ফলে চাষি ও পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। ফসলি জমি হারায় ঊর্বরতা। রংপুর বিভাগ তামাক চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফকির বলেন, ২০১০ সালের আগে কিছু কোম্পানি তামাক উৎপাদন বাড়ানোয় কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করত। এখন এরকম সহযোগিতা করে না। বিশেষ করে বিড়ির প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ায় অনেক কোম্পানি আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। জেলা সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বলেন, ‘তামাক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’ তিনি বলেন, ‘শ্বাসকষ্টসহ চর্মরোগ সৃষ্টি করে তামাক। এর নিকোটিন শরীরের রক্তনালী চিকন করে দেয়। এছাড়া হার্ট ও কিডনির ড্যামেজ হওয়ার শঙ্কা থাকে। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মাজেদুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ এই ফসল যেন কোনো কৃষক আবাদ না করেন এজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করে থাকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর