শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

মাস্টার আছে টিকিট নাই

দিনাজপুর প্রতিনিধি

মাস্টার আছে টিকিট নাই

স্টেশন মাস্টার আছে কিন্তু টিকিট বিক্রি হয় না এমনই এক রেলওয়ে স্টেশন কাঞ্চন জংশন। দেশের কোথাও এমন রেলওয়ে জংশন আছে কি না কেউ জানেন না। রেলওয়ের এই কাঞ্চন জংশনে আবার সব ট্রেন থামেও না। যদিও স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি এই জংশনে সব ট্রেন স্টপেজ দেওয়ার।

তবে ১৫/১৬ বছর আগে এই রেল জংশনে রেলওয়ের টিকিট বিক্রি হতো। যদিও একমাত্র সিগন্যাল কেবিনের দোতলায় এই টিকিট দেওয়া হতো। এখন আর টিকিট বিক্রি হয় না আবার সব ট্রেনও থামে না। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এই রেলওয়ের কাঞ্চন জংশন দিয়ে দিনাজপুর-বিরল-ভারতের রাধিকাপুর ছাড়াও দিনাজপুর-বিরল-পঞ্চগড় রেলরুটে ৭টি ট্রেন যায় এবং ফিরে আসে। এর মধ্যে কমিউটার এবং উত্তরবঙ্গ মেইল নামে দুটি লোকাল ট্রেন স্বল্প সময়ের জন্য থামে। যদিও ট্রেন দুটি পাবলিক পরিচালনায় চলে। এই কাঞ্চন জংশন দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করে। এখানে নেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা, বা পরিচ্ছন্নতার কোনো কর্মী। এই কাঞ্চন জংশনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২৬ জন জনবল প্রয়োজন কিন্তু বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৬ জন। বিরলের কাঞ্চন জংশনের স্টেশন মাস্টার মোক্তার হোসেন জানান, এখানে ২ জন স্টেশন মাস্টার, ২ জন গেইটম্যান, ২ জন পয়েন্টম্যান রয়েছে। টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাও নেই, কারণ এখানে ট্রেনই থামে না। আর দুটি লোকাল ট্রেন থামে সেটি পাবলিক পরিচালনায় চলাচল করে। তারা ট্রেনেই টিকিট বিক্রি করে।

এই স্টেশনের আওতায় ১৩টি সিগন্যাল আছে এবং এগুলোতে আলো জ্বালাতে এবং নিভাতে হয়। কাঞ্চন জংশনের গুরুত্ব বিবেচনা করে জনবল বাড়ানো উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর