শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

সিরাজগঞ্জে পুকুর খননে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা

আবদুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে পুকুর খননে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ-তাড়াশ-উল্লাপাড়ায় ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধানসহ অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভ হওয়ায় তারা পুকুর খনন করে মাছ চাষে ঝুঁকে পড়ছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, যেহারে পুকুর খনন করা হচ্ছে দ্রুত রোধ করা না হলে জেলায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, ফসলি জমি নষ্ট না করতে প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ থাকলেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও কার্যকর আইন নেই এমন অজুহাতে প্রশাসনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জানা যায়, শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলা। প্রতি বছর উপজেলার ফসলি জমিগুলোতে লাখ লাখ মেট্রিক টন ধান-সরিষা-ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়। যা দেশের খাদ্যের একটি অংশের চাহিদা পূরণ করে থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছর তিনটি উপজেলার কৃষকরা বন্যা-খরায় ফসল নষ্ট, উৎপাদন খরচের চেয়ে ধানের দাম কম- এমন অজুহাতে ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করে মাছ চাষে ঝুঁকে পড়ছে। সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা ও মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের প্রলোভনে ফেলে পুকুর খননে বাধ্য করছেন। কৃষি বিভাগের মতে, এক যুগে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর আবাদি জমি বিভিন্ন কারণে হ্রাস  পেয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এক লাখ ৮৭ হাজার ৬২৫ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি ছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর কমে দাঁড়িয়েছে তাড়াশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এসকেভেটর মেশিনের চাবি নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান দিনে চালানো হলেও রাতে আবার কৃষকরা পুকুর খনন করে চলছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হাবিবুল হক জানান, পুকুর খননের কারণে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ জানান, পুকুর খনন বন্ধে সুস্পষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর পরও অভিযোগ পেলে বন্ধ করার চেষ্টা করছি।

এতেও বিশেষ কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর