হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝিনাইদহ পৌরসভা সংলগ্ন শিশুপার্কের জায়গায় শুরু হয়েছে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ। জানা গেছে, হাই কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মাটি ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ ছিল। তখন পিলার ছিল ১টি। কিন্তু হঠাৎ করেই আদেশ ভঙ্গ করে চারিদিকে টিন দিয়ে ঘিরে শুরু হয়েছে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ। প্রকাশ্যে এভাবে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের ঘটনা ঘটলেও জেলা প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সঙ্গে গতকাল মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে জমি ফেরত চেয়েছি এবং সেখানে যদি কাজ চলে থাকে তাহলে আমার ডিডিএলজি গিয়ে কাজ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’ উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর শিশু পার্কের স্থানে ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়। এ কারণে পার্কে থাকা শিশুদের খেলাধুলার সব সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলা হয়। বুলডোজার দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে গাছপালা। এরপর মাটি ভরাট পাইলিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। জানা গেছে, পৌরসভা থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়ায় নাগরিকরা ক্ষুব্ধ। পার্কের স্থানে বাণিজ্যিকভবন তৈরির বিষয়টি তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ পাবলিক পার্কের শ্রেণি অপরিবর্তিত রেখে সংরক্ষণ ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের আদেশ দেয়। তাতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।