শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

পর্যটক হারাচ্ছে দুর্গাপুর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

পাহাড়, নদী, হাওর-বাঁওড়, ময়মনসিংহ গীতিকাসহ নানা লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধারণ করে আছে নেত্রকোনা। এখানে রয়েছে পর্যটন সম্ভাবনাময় বেশকিছু স্পট। তারমধ্যে অন্যতম দুর্গাপুর সীমান্ত। এছাড়া আছে পাহাড়ি নদী স্বোমেশ^রী, সিলিকন বালু, বিজয়পুরের চিনামাটির পাহাড়, গারো পাহাড়, হাজংমাতা রাশিমনি স্মৃতিসৌধ, ক্যাথলিক গির্জা, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী। এক সময় দুর্গাপুর সীমান্ত পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকলেও এখন অনেকটা আকর্ষণ হারিয়েছে। নেত্রকোনা শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের মেঘালয় প্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষে মনোমুগ্ধকর পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা দুর্গাপুর। দুর্গাপুরের সৌন্দর্যকে দেখতে এক সময় নেত্রকোনা ও আশপাশের জেলার মানুষ আসতো। দিনে দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও পর্যটক আসা শুরু করে এখানে। তখন এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল না।

২০১৯ সালে সদ্য সমাপ্ত হয় ৩৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক। পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করা হয়েছে সড়কটি। সড়ক নির্মাণ হওয়ার পরই অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। সড়কে একের পর এক ট্রাক-লরি চলায় বেড়ে গেছে দুর্ঘটনা। ঘটছে প্রাণহানি। এ কারণে খারাপ সড়ক দিয়ে যে পরিমাণ পর্যটক আসতো এখন সেই সংখ্যা আরও কমেছে। জানা যায়, গত এক বছরে দুর্গাপুর-বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ সড়কে দুর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশত লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আশপাশের জেলার মানুষ আগ্রহ হারাচ্ছে দুর্গাপুর বেড়াতে যেতে। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার জানান, হেলপার দিয়ে বালু পরিবহন করায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে।

যে চালক গাড়ি চলাচলের নিয়মই জানে না, এদের দিয়ে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না। 

সর্বশেষ খবর