শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

নদীভাঙনে বিলীন ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি

পাবনা প্রতিনিধি

নদীভাঙনে বিলীন ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি

অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাবনায় পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনের কারণে তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। অসময়ের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে সদর ও সুজানগর উপজেলার অন্তত ২০ গ্রামের দুই হাজার বিঘার বেশি ফসলি জমি। বালু তোলার প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগীদের হুমকি-ধমকি এমনকি হত্যাচেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে। প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সর্বস্বান্ত চাষিরা। বালু উত্তোলনে সহয়তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করছেন তারা। ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর ধরে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা থেকে সুজানগরের নাজিরগঞ্জ পর্যন্ত পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সদরের বাহিরচর, কোলচরী,  চরভবানীপুর, বাগচীপাড়া, ভাদুরডাঙ্গী, সুখচর, সুজানগরের চর খলিলপুর, নাজিরগঞ্জ, হাজারবিঘা, বিশ^নাথপুর, সাগরকান্দি, চরসুজানগরসহ পদ্মাপাড়ের অন্তত ২০ গ্রামে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইতোমধ্যে নদীতে তলিয়ে গেছে এ সব গ্রামের আড়াই হাজার বিঘা জমি। সরেজমিনের চরতারাপুর ইউনিয়নের বাহিরচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে পদ্মা নদী থেকে বালু তুলছেন শ্রমিকরা। এ বালু শত শত ট্রলারে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও ফল মেলেনি। আমরা বিক্ষোভ-মিছিল, মানববন্ধন করেছি কিন্ত কেউ খবর নেয়নি। বালি উত্তোলনের প্রতিবাদে অংশ নেওয়ায় বুধবার রাতে বাহিরচর গ্রামের শাহিন সর্দার (৩০) নামে এক যুবককে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। ধ্বস্তাধস্তির একপর্যায়ে কোনোমতে পালিয়ে বাড়ি ফিরেন শাহিন। পাবনায় বিভিন্ন পয়েন্টে বালি উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে পুরো বিষয়টিকে বড় ধরনের দুর্বৃত্তায়ন বলে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযানে যাওয়ার আগেই বিভিন্ন মহলের যোগসাজশে তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সফল হতে পারছি না। এ কারণে উত্তোলন করা বালু নিলামে বিক্রি করে দিচ্ছি। জেলা প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে সব ধরনের প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করছে।’

সর্বশেষ খবর