শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

অধ্যক্ষের থাপ্পড়ে শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন শিক্ষার্থী!

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে অধ্যক্ষের থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটে প্রায় শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেছে সাকিল আহম্মেদ (১৫) নামে এক শিক্ষার্থী। ঘটনার পর অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ছাত্রের চিকিৎসার জন্য ৬ হাজার টাকাও দিয়েছেন। স্থানীয় ভাদুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি কোনো ছাত্রকে থাপ্পড় মারেননি এবং চিকিৎসার জন্য টাকাও দেননি।

থাপ্পড় মারার ঘটনাটি ঘটে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ভুক্তভোগী সাকিল আহম্মেদ নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিয়াড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ও ভাদুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। সাকিল জানায়, ঘটনার দিন টিফিনের সময় কলেজের বড় ভাইয়েরা বাড়িতে চলে যাচ্ছিল। তাদের দেখে আমিও বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নেই। এমন সময় স্যার আমাকে কানে থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। আমি অনেকক্ষণ চোখে কিছু দেখতে পাইনি। পরে অধ্যক্ষ স্যার বলেন, বাড়িতে গিয়ে বললে স্কুল থেকে বের করে দেব। তাই প্রথমে কাউকে বলিনি। যখন প্রচ- ব্যথ্যা হচ্ছিল তখন মাকে বলেছি। শাকিলের মা বলেন, ঘটনা জানার পর স্থানীয়ভাবে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছি। এতে কাজ না হওয়ায় তাকে রংপুর নিয়ে যাই। বর্তমানে রংপুরে শাকিলের চিকিৎসা চলছে। অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য ৬ হাজার টাকা দিয়েছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর