শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

মেইল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

মেইল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা

‘রেলসিটি’ খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলা শহর রেলশূন্য হয়ে পড়ছে। এক সময়ে জেলা শহর থেকে সুন্দরবন, যমুনা, আন্তনগর এক্সপ্রেস ও মেইলসহ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করত। সময়ের পরিক্রমায় সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ মেইলসহ দুটি ট্রেন চলাচল করলেও সম্প্রতি মেইল ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বহু। এছাড়া সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তনগর ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে প্রতিটি স্টেশনে যাত্রা বিরতি করায় সময় দ্বিগুণ লাগছে। ট্রেনটির এসি বগিটিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে রেলের প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ শহরবাসী। তারা মেইল ট্রেনটি পুনরায় চালুসহ সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। মেইল ট্রেনে যাতায়াতকারী আল হামরা, ইয়াসিন ও আরাফাত জানান, মেইল ট্রেনে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন থেকে জামতৈল, উল্লাপাড়া, লাহিড়ী মোহনপুর, চাটমোহর, ঈশ^রদীতে যে সব লোক চলাচল করত তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়ক পথে দ্বিগুণ খরচ ও তিন থেকে চারগুণ বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, মাসুমসহ অনেকে জানান, মেইল ট্রেন চলাচল করায় স্টেশন জমজমাট থাকত। বেচাকেনা ভালো হতো। এখন স্টেশন প্রায় জনমানবহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ^রদী, মুলাডুলি থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আম, লিচু, তাল, শাক-সবজি স্বল্প খরচে এনে শহরে বেচাকেনা করত। একমাত্র মেইল ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা কমিটির নেতা নবকুমার কর্মকার জানান, শহর থেকে চলাচল করা ট্রেন প্রত্যাহার করায় সিরাজগঞ্জবাসী ভোগান্তিতে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা মালামাল পরিবহন করতে না পারায় পড়ছেন বিপাকে। ট্রেন প্রত্যাহারের পর থেকে সিরাজগঞ্জে ব্যবসায় ধস নেমেছে। বেকার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দ্রুত মেইল ট্রেন চালু ও সেবার মান বৃদ্ধি না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জুলহক জানান, সময় কভার করতে না পারায় মেইল ট্রেনটি বন্ধ করা হয়েছে। পুনরায় এটি চালু হবে কিনা তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে। আর একটি মাত্র লাইনে বেশি ট্রেন চলাচলের কারণে আন্তনগর এক্সপ্রেস ঢাকায় যেতে বেশি সময় লাগছে। ডাবল লাইন হলে সমস্যা সমাধান হবে। এসি বগিটি কেন তুলে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তার জানা নেই।

সর্বশেষ খবর