শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

যে গ্রামে ঘোষণা দিয়ে চালানো হয় লুটপাট!

ফরিদপুর প্রতিনিধি

একটি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের ছোট নাওডুবি গ্রামে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শতাধিক নারী-পুরুষ। এ সুযোগে একটি চক্র বাড়িঘরে লুটপাট চালাচ্ছে। ঘোষণা দিয়েই গত কয়েকদিনে কমপক্ষে ৩০টি বাড়িতে হামলা লুটপাট করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবুল কালাম মাতুব্বরের সঙ্গে একই গ্রামের জয়নালের বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে মারাত্মক আহত হন কয়েকজন। এদের মধ্যে আবুল কালামের পক্ষের ইশারত (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ দিন পর মারা যান। সংঘর্ষের পর আবুল কালাম বাদী হয়ে জয়নালসহ তার ২২ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলা পরে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এদিকে ইশারতের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে জয়নালের সমর্থকরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নাওডুবি গ্রামে প্রতিনিয়ত চলছে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-লুট। লুটপাট থামাতে ওই দিন থেকেই পুলিশি প্রহরা বসানো হয়। দিনে পুলিশ থাকায় এরপর থেকে রাতে চালানো হচ্ছে লুটপাট। প্রতিপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়েই হামলা-লুট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মামলার কারণে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে থাকায় খেতের ফসল ও গবাদিপশুও লুট করছে প্রতিপক্ষের লোকজন। পুনরায় হামলার ভয়ে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে ছোট নাওডুবি গ্রামে বিরাজ করছে আতঙ্ক। স্থানীয় কাইচাইল ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডু বলেন, ‘মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুযোগ সন্ধানী একটি চক্র প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করছে। প্রতিপক্ষের লোকজনের ভয়ে অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’ নগরকান্দা থানার ওসি জানান, হত্যাকান্ডের পর গ্রামে রাত-দিন পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। রাতের আঁধারে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। তবে পুলিশের তৎপরতার কারণে লুটপাটের ঘটনা কমে এসেছে।

সর্বশেষ খবর