রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই কিমি খাল খননে পাল্টে যাবে কৃষিচিত্র

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দুই কিমি খাল খননে পাল্টে যাবে কৃষিচিত্র

দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ছয়টি বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে শত শত বিঘা জমি চাষে বিঘ্ন ঘটে। ক্ষতি হয় ফসলের। মাত্র ২ কিলোমিটার খাল খনন করলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে ওইসব এলাকার কৃষক। ১৯৮৪ সালে এ সমস্যা দূর করতে খাল খননও করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৩৮ বছরে সে খালটি ভরাট হয়ে পানি চলা বন্ধ হয়ে গেছে। সুন্দরবন ইউনিয়নের বিলগুলো হলো- হাড়িয়ার বিল, হাজেরা বিল, চানতারা বিল, গুরমি বিল, দলবাড়ী বিল ও তরঙ্গিনি বিল। ওইসব বিলের কয়েক শ বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়। ফলনও হয় বেশি। শুষ্ক মৌসুমে কৃষক বিলের জমি চাষাবাদ করতে পারলে বর্ষা শুরুর আগে ধান কাটা না গেলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। তরঙ্গিনি গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি ৭ বিঘা জমি চাষ করি। শুষ্ক মৌসুমে সমস্যা না হলেও বর্ষায় পানি জমে থাকায় চাষাবাদ করা যায় না। অথচ ওই পানি নিষ্কাশন করে আত্রাই নদীতে নিলে চাষাবাদও করতে পারব আবার কৃষকও ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।’ ঝানঝিরা গ্রামের বর্গা চাষি ইয়াহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি ৩-৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করি। এখানে ফলন ভালো হয়। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে ধান নষ্ট করে দেয়। আবার ধান কাটতে দেরি হলে এবং বর্ষা শুরু হলেও ধান নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমার মতো অনেক চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হন। অথচ এখানকার বিলের পানি নিষ্কাশনে মাত্র ২ কিলোমিটার ক্যানেল খনন করা হলে এ অঞ্চলের কৃষক উপকৃত হবে।’ ঝানঝিরার আখতার হোসেন ও দবিরুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, এ ইউনিয়নের হাড়িয়াবিল থেকে ঘোষপুর স্কুলের পাশ দিয়ে দুধিয়ার দাড়া ক্যানেল খনন করে আত্রাই নদীতে পানি নিষ্কাশন করা গেলে কৃষকের সমস্যা কেটে যাবে। তখন বর্ষার সময় আরও ৩০০ বিঘার অধিক জমিতে ধান আবাদ হবে। এতে উৎপাদন বাড়বে। কৃষক লাভবান হবে। জমি অনাবাদি থাকবে না।

 

সর্বশেষ খবর