রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

কালনী-কুশিয়ারায় বিলীন ২০০ বসতি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

শুকনো মৌসুমে ভাঙন দেখা দিয়েছে আজমিরীগঞ্জের কালনী ও কুশিয়ারা নদীতে। এরই মধ্যে দুই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম। নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এ সব গ্রামের ২০০ পরিবার। এদের অনেকে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত হয়েছেন। কেউ অন্যত্র বসতি গেড়েছেন। জানা যায়, হবিগঞ্জের ভাটি অঞ্চল আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইছেও ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালনী, কুশিয়ারা ও ভেড়ামোহনা নদী। চলতি শুকনো মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ার পর ভাঙতে শুরু করেছে তীর। অব্যাহত ভাগনে ইউনিয়নের সৌলরী, মণিপুর, বদরপুর, জয়নগর ঋষি হাটি, কাদিরপুর, নজরাকান্দা, সাহা নগরসহ ১০টি গ্রামের প্রায় ২০০ বাড়িঘর হারিয়ে গেছে।

আজমিরীগঞ্জের সৌলরী গ্রামের আবুল ফজল জানান, প্রায় এক যুগ ধরে কালনী-কুশিয়ারা ও ভেড়ামোহনা নদীর পশ্চিম পাড় কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার কাটিয়ারকান্দা গজারিয়া এলাকায় মাইলের পর মাইল নদীতে চর জেগেছে। তিনি বলেন- সেদিকে চড় পড়ার নদীর পানির গতি বেড়ে আমাদের পূর্ব পাড়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে এ পাড়ে দেখে দিয়েছে ভাঙন।

বর্তমানে শুকনো মওসুমেও নদীর পাড় ভাঙছে। তিনি নদী ভাঙনরোধে সরকারের কাছে দাবি জানান। একই গ্রামের মুহিত মিয়া জানান, নদী ভাঙনে আমার বাড়ির সামনের বিছড়া বিলীন হয়ে গেছে। এখন বসতভিটা ভাঙতে শুরু করেছে। বাড়িঘর ভাঙলে আমরা যাব কোথায়। মনিপুর গ্রামের হক মিয়া জানান, বসতবাড়ির সঙ্গে আমাদের গ্রামের মসজিদ-মাদ্রাসা নদীতে তলিয়ে গেছে। গত শনিবার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অমিতাভ পরাগ তালুকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, প্রকল্প গ্রহণ করে নদীর ২ হাজার ২০০ মিটার এলাকায় ভাঙন রোধে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর