সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

কান্দিরপাড়ে কাজ নেই

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

নিখিল ঋষি। কুমিল্লা কান্দিরপাড়ে জুতা সেলাই করেন। থাকেন নগরীর ঋষিপট্টিতে। করোনার প্রভাবে কাজ নেই বললেই চলে। তাই অর্ধাহারে জীবন চলছে। ঘরে স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে দুই কেজি চাল এক কেজি আলু ও এক কেজি টমেটো দিয়ে যায় একটি সংগঠন। তা চার দিন পার করেন। আজ ঘরে চাল নেই। সকাল থেকে কান্দিরপাড় এসে বসে আছেন। বাক্সটা সামনে রেখে চটের বস্তায় বসে আছেন। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২০ টাকার কাজ করতে পেরেছেন। নিখিল ঋষি বলেন, দুই কেজি চাউল দিয়া চাইরজন মানুষ চাইর দিন খাইছি- আইজ ঘরে চাল নাই ! পাশে বসা ঠাকুর দাশেরও একই অবস্থা। গত  ১৫ বছরেও এত অভাবে পড়েননি। ঘরে খাবার নেই। কান্দিরপাড়ে কাজ নেই। তবুও আশায় বসে আছেন যদি কাজ হয়। ঠাকুরদাসও থাকেন ঋষিপট্টিতে। ঘরে বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তান আছে। দুপুরের কড়া রোদে ছাতার নিচে বসে আছেন। দৃষ্টি পড়ে থাকে পোশাকী মানুষের জুতার দিকে। সকাল থেকে বসে আছেন। কেউ জুতা বাড়িয়ে দেয়নি। সবাই ধুলা উড়িয়ে সামনে দিয়ে চলে যায়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো:আবুল ফজল মীর জানান,নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সর্বমোট ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। আমরা নিম্নআয়ের মানুষজনের জন্য ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর