সপ্তাহখানেক আগেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ছিল উপচেপড়া ভীড়। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে সবকিছু লকডাউন হওয়ার ভয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। অনেকেই তখন চড়া দামে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য কেনায় বাজারগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। বাজারে পণ্যের পসরা সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় এখন অলস সময় পার করছেন দোকানিরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরুলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। গতকাল দুপুরে সরেজমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জগত বাজার ও আনন্দ বাজারে এবং চাল বাজারে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সব দোকানেই রয়েছে ক্রেতা সংকট। আবার যারা আসছেন বেশির ভাগ পণ্যের দাম জেনে চলে যাচ্ছেন।
আনন্দ বাজারের চাল ব্যবসায়ী জালাল ট্রেডার্সের জালাল উদ্দিন জানান, চালের বাজারের বেচাকেনাও কমেছে।
আগে দৈনিক আড়াইশ থেকে তিনশ বস্তা (৫০ কেজি প্রতি বস্তা) চাল বিক্রি হতো। পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল থাকা সত্ত্বেও বেচাকেনা কম। বিকাল প্রায় সাড়ে ৩টার পর্যন্ত দেড়শ বস্তা চাল বিক্রি হয়েছে। জেলা শহরের প্রধান এই তিন বাজারের মতোই বাকি বাজারগুলোর অবস্থা। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য মজুদ থাকলেও ক্রেতা নেই।