মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

কারও খাবার নেই কারও নেই ঘর

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কারও খাবার নেই কারও নেই ঘর

হারাখাল। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। ওই ইউনিয়নের মধ্যে এ গ্রামে ভিক্ষুক বেশি। ২০ জনের মতো মানুষ হাত পেতে জীবনধারণ করেন। তাদের মধ্যে ১০ জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই ১০ জনের মধ্যে কারও মাথা গোঁজার ঘর নেই। কারও ভিক্ষে না করলে চুলা জ্বলে না। তারা বয়স্ক ও বিধ্বা তালিকায় ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত হলেও তা পাচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে ভাতা দেওয়ার কার্ড দিবে বলে নেতারা কয়েকজন থেকে টাকাও নিয়েছেন। যদিও তারা ভাতা পাননি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পেয়ারা বেগম (৬৫) এক ছেলে, এক মেয়ে, কোনো ভাতা পান না। একটি ঝুপড়ির মতো ঘর আছে। মনোয়ারা বেগম (৬৩) এক ছেলে,   কোনো ভাতা পান না। ফাতেমা বেগম (৬০) এক   ছেলে, দুই মেয়ে, কোনো ভাতা পান না। আসিয়া  বেগম (৬২) এক ছেলে, দুই মেয়ে, ছেলে কোমরের অসুস্থতায় ঘরে পড়ে আছে। কোনো ভাতা পান না। ভানু বিবি (৪০) স্বামী এক কন্যা সন্তান রেখে পালিয়ে  গেছে। তারও থাকার কোনো ঘর নেই। কোনো ভাতা পান না। আকলিমা বেগম (৪০) তার তিন ছেলে।  ছেলেরা নাবালক। তিনিও কোনো ভাতা পান না।  জোসনা বেগম (৩২) তিন ছেলে। কোনো ভাতা পান না। আব্দুর রহমান (৪০) তিন ছেলে ও চার মেয়ে। তার একটি ভাতা কার্ড আছে। তবে থাকার ঘর নেই। ফুল হক (৭৫) এক ছেলে ও চার মেয়ে। কোনো ভাতা পান না। হালিমা খাতুন (৩২) এক মেয়ে, তার থাকার ঘর নেই। কোনো ভাতা পান না। পেয়ারা বেগম বলেন, হাত পেতে জীবন চলে। বয়স হয়েছে। এখন আর পা চলে না। একটি ঘর আর ভাতা পেলে শান্তিতে থাকতে পারতাম। গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুদুল হক বলেন, এ গ্রামে আগের মতো অভাবী লোক নেই। এদিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। লাকসাম উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উপন্যাস চন্দ্র দাস বলেন, ভিক্ষুকদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা নেই। তবে তাদেরকে বয়স্ক তালিকায় অগ্রাধিকার দিচ্ছি। অসহায় লোকজন যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর