মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

মৌমাছির বাড়ি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

মৌমাছির বাড়ি

তাদের দাঁড়াবার সময় নেই। দল বেঁধে ফুল থেকে মধু আহরণ করে জমাচ্ছে বিভিন্ন মৌচাকে। তবে এ চাক কোনো বন-জঙ্গলে নয়, লোকালয়ে বাড়ির চারপাশে। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাবরি গ্রামের শামসুল হক ওরফে নেনকু মাস্টারের বাড়িতে। বাড়িটির ভিতরে-বাইরে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ১২টি মৌচাক। এলাকার চারপাশ থেকে বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করে চাক তৈরি করেছে মৌমাছির দল। বাড়ির বিভিন্ন স্থানে মৌমাছি অবস্থান করায় নজর কারছে এলাকাবাসীর। আশপাশের লোকজন প্রতিদিন বাড়িটিতে ভিড় করে মৗমাছি দেখতে এবং মধু কেনার জন্য। বাড়ির মালিক শামসুল হক মাস্টার জানান, মৌমাছি নিজেরাই তার বাড়িতে এসে বাসা বেঁধেছে ১০ বছর আগে। এলাকার ও পরিবারের কেউ মৌমাছিগুলোকে বিরক্ত করে না আর মৌমাছিরাও তাদের আক্রমণ করে না। মৌচাক থেকে প্রতিমাসে দুই বার মধু সংগ্রহ করেন বাড়ির মালিক। প্রতিবার ১২-২০ কেজি মধু পাওয়া যায়। এভাবে বছরে ২৪ বারে ৪০০ কেজি মধু সংগ্রহ করেন তিনি। নিজে কিছু রেখে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। আর অর্ধেক নিয়ে যান মধু সংগ্রহ কর্মীরা। মৌমাছি সম্পর্কে ঠাকুরগাঁও হ্যাডস কৃষি ডিপ্লোমা কলেজের অধ্যক্ষ সফিউল আলম বলেন, পরিশ্রমী আদর্শ প্রাণী হিসেবে এদের সহজে আলাদা করা যায়। কারণ এরা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ও সুশৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ। তিনি বলেন, পৃথিবীতে হাজারো প্রজাতির মৌমাছি আছে। এদের মধ্যে এপিস সেরানা নামের মৌমাছি এ দেশের গ্রামে-গঞ্জে দেখা যায়। এরা সাধারণত গাছের গর্তে, বাসা, দালানের কার্নিশ, সানশেড, ইটের স্তূপ ও মাটির গর্তে বাসা বাঁধে। প্রতি চাকে একটি রাণী, শতাধিক পুরুষ মৌমাছি থাকে। এদের নেতৃত্বে আরও ২৫-৩০ হাজার সৈনিক মৌমাছি মিলে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর