মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্ষতিকর তামাক চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা!

বোয়ালমারী প্রতিনিধি

ক্ষতিকর তামাক চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা!

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় অধিক মুনাফার লোভে ক্ষতিকর তামাক চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। ফলে এ অঞ্চলের পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও কৃষিজমি পড়েছে হুমকির মুখে। কমছে জমির উর্বরতা। খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।

বোয়ালমারী উপজেলার উত্তরে হাসামদিয়া গ্রামের এক তামাক চাষি বলেন, ‘তামাকে লাভ বেশি। তা ছাড়া অন্য ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অনেকে তামাক চাষে ঝুঁকছেন। তবে তামাক চাষের ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয় তা আমরা জানি না।’ সিগারেট প্রস্তুতকারক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির (বিএটিসি) এক মাঠকর্মীর দেওয়া তথ্যমতে বোয়ালমারীতে শুধু তাদের কোম্পানির তালিকাভুক্ত চাষিদের মাধ্যমে ২৬ হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ হয়। এর মধ্যে চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়ায় ১১, রুপাপাত ইউনিয়নের কালিনগরে ১৩ ও দাদপুর ইউনিয়নের কলমেশ্বরদীতে রয়েছে ২ হেক্টর জমি। এ ছাড়া আকিজ টোব্যাকোসহ আরও কয়েকটি কোম্পানির তালিকাভুক্ত চাষি রয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিএটিসি বোয়ালমারী অঞ্চলের সুপারভাইজার জুয়েল রানা জানান, এ উপজেলায় তামাকের উৎপাদন হেক্টরপ্রতি ১৩০০-১৪০০ কেজি। প্রতি কেজি তামাকের বাজারমূল্য ১২০ টাকা। এ হিসাবে ১ হেক্টর জমির উৎপাদিত তামাকের দাম প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার। পান্নু খাঁ নামে একজন জানান, তিনি প্রায় ৩ একর জমিতে তামাক চাষ করেন। বিঘাপ্রতি (৩০ শতাংশ) উৎপাদন খরচ ৩০ হাজার টাকা কিন্তু উৎপাদিত তামাক বিক্রি হয় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ক্ষতিকর জেনেও অন্য ফসল বাদ দিয়ে কেন তামাক চাষ করেন- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অন্য ফসলে ঝুঁকি রয়েছে।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম হোড় বলেন, ‘আমি কৃষককে তামাক চাষে সব সময় নিরুৎসাহিত করি। কিন্তু বড় বড় সিগারেট কোম্পানি খেতের তামাক নষ্ট হলেও কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেয়। এজন্য কৃষক তামাক চাষে উৎসাহী হচ্ছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর