ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও আশুগঞ্জে গতকাল পৃথক সংঘর্ষে অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। এ সময় দাঙ্গাবাজরা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নাসিরনগর উপজেলার ফকিরদিয়া গ্রামের ছেলেরা মঙ্গলবার বিকালে ক্রিকেট খেলতে চাইলে করোনাভাইরাসের কথা বলে স্থানীয় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর জেরে গতকাল সকালে ফকিরদিয়া মুন্সী বাড়ির শাহ হোসেনের লোকজন এবং সরকার বাড়ির আলমগীর মিয়ার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুরের চালানো হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে আহত হন উভয়পক্ষের ৩৫ জন। আহতদের মধ্যে দুজনকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নাসিরনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কোনো পক্ষ মামলা করেনি। এদিকে আশুগঞ্জে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়তল্লা গ্রামে রব্বানী মিয়ার বাড়ি ও শিশু মেম্বারের বাড়ির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে শিশু মিয়ার বাড়ির সজিব, শাওন, রকিবুল ও রুহুল আমিন বড়তল্লা গ্রামের রেল লাইন এলাকায় বসে মোবাইলে লুডু দিয়ে জুয়া খেলছিল। এ সময় রব্বানি মিয়ার বাড়ির কাউছার ও সিরাত তাদের বাধা দিলে বাকবিতন্ডা হয়।
এর জেরে বুধবার সকালে শিশু মেম্বারের বাড়ির হারুন, জামাল, আল-আমিন ও মগল মিয়া হামলা চালায় রব্বানী মিয়া বাড়ির লোকজনের ওপর। ভাঙচুর করে বাড়িঘর। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।