জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের চরপাকেরদহ দিকপাড়া গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়কটি মরণফাঁদ। এ ব্রিজটি ১৯৯৮ সালের বন্যার পানির স্রোতে দেবে যায়। সেই থেকেই ছয়টি গ্রামের মানুষের মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এ ব্রিজটি। ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম টুলু জানান, এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে উপজেলা সদরসহ বাকুরচর, চাইলেনিপাড়া, ফাজিলপুর, চরনগর বালিজুড়ীসহ অন্তত ছয়-সাতটি গ্রামের লোকজন চলাচল করে থাকেন। কৃষক ওয়াজেদ সেক জানান, এলাকার লোকজন প্রতি বছর নিজ উদ্যোগে ব্রিজের দুপাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপার হয়ে থাকে। এ সড়কটি দিয়ে কোনো মালামাল পরিবহন করা যায় না। এমনকি জমি থেকে ফসল আনতে হয় ঝুঁকি নিয়ে মাথায় করে। শিক্ষক আফতাব উদ্দিন জানান, ওই গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ঈদগাহ মাঠ, দুটি মসজিদ রয়েছে। অনেকেই ব্রিজ পারাপার হতে দুর্ঘটনার শিকার হন। ব্রিজটি দেবে গ্রামের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ওই গ্রামের লোকদের সঙ্গে অনেকেই আত্মীয়তা করতে চান না। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল্লাহ জানান, বিষয়টি তিনি স্থানীয় সংসদ মির্জা আজমসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকদফা আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান তৌফিকুল ইসলাম জানান, ব্রিজটির প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অতি দ্রুত ব্রিজটি স্থাপনের চেষ্টা চলছে।