বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বগুড়ায় চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় অনেক চিকিৎসকই সরকারি হাসপাতালে ও বেসরকারি ক্লিনিকে বসছেন না। কদিন আগেও প্রাইভেট চেম্বারে বসার জন্য তাগাদা থাকলেও এখন আর চিকিৎসকগণ আসছেন না। চিকিৎসকরা না আসায় বগুড়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেম্বারে জরুরি চিকিৎসার জন্য কোনো চিকিৎসক না পেয়ে রোগীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বন্ধ হয়ে গেছে রোগ নির্ণয় করাও। যে কারণে সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি ক্লিনিক সব জায়গায় রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটির আগে, স্বাভাবিক দিনে বগুড়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে থাকতো উপচে পড়া ভিড়। করোনার প্রভাবে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবা বন্ধপ্রায়। ছোট-বড় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অথবা ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসকরা সব রকমের রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। রোগী দেখা বন্ধ করায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগ নির্ণয়ের জন্য কোন ভিড় নেই। অলস দিন কাটাচ্ছেন ডায়গনস্টিক সেন্টারের টেকনিসিয়ান ও কর্মচারীরা। প্রতিষ্ঠিত ২/১টি ডায়াগনস্টিক ছাড়া অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঝুলছে তালা। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (শজিমেক) অধ্যক্ষ ও জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম জুয়েল জানান, প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসকরা বসছেন না। জনসমাগম এড়াতে চিকিৎসকরা প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন। জরুরি রোগীদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে দেখা হচ্ছে। বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, ৫০০ শয্যার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে রোগী ভর্তি থাকতো ১২০০ থেকে ১৩০০। এখন সেখানে  ৩৮৭ জন। হাসপাতালের আউট ডোরে রোগী আসত প্রায় ২৫০০। করোনার প্রভাবে এখন সেখানে  প্রতিদিন রোগী আসছে ১০০ থেকে ১৫০।

সর্বশেষ খবর