শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সেই দাপুটে ড্রাইভার জেলে যাওয়ার ভয়ে পলাতক

শেরপুর প্রতিনিধি

বন বিভাগ ও সাধারণ মানুষের জমি জবরদখলের জন্য এক গাড়িচালক জেলখানায় ঢুকতে হবে- এই ভয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তার নাম আবদুল বাতেন। তার বাড়ি ঝিনাইগাতী উপজেলার গারোকোনা হলদিগ্রামে। শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির ড্রাইভার বাতেন। এলাকায় তার খুব দাপট। গত সোমবার নালিতাবাড়ী মৌজার হলদিগ্রামে বনের জাগয়া দখল করতে গেলে বাধা দেয় বন বিভাগ। জব্দ করা হয় ভেকু ও অন্যান্য সরঞ্জাম। বুধবার শেরপুর আদালতে বাতেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী বনের বিট কর্মকর্তা আবদুর রউফ।

স্থানীয়রা জানান, করোনার কারণে বনের কর্মীরা ছুটিতে ছিলেন। সবাই আছেন করোনার ভয়ে আর বাতেন ব্যস্ত বনের জমি দখলে। শুধু সরকারি জমি নয়, নিরীহ মানুষের জমিও দখল করেছেন অনেক। কেউ প্রতিবাদ করলেই মামলা। আদালতে চাকরি করার সুবাদে এলাকায় তার খুব দাপট। জানা গেছে, আবদুল বাতেন ড্রাইভারের গ্রামের বাড়ির পাশে সরকারি বিশাল বনভূমি। দীর্ঘদিন ধরে এ বন কেটেছেঁটে লেবু ও মালটার চাষ করছেন বাতেন। আগেও কিন্তু বাতেন ক্ষ্যামা দেননি। বরং বনের ছোট কর্মচারীদের হুমকির ওপর রেখেছেন। এ অবস্থায় সোমবার শেরপুর-জামালপুর অঞ্চলের বন বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রেঞ্জার গিয়ে বন দখল করার দৃশ্য দেখতে পান। তারা মাটি কাটার ভেকু ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করেন। বন বিভাগ জানিয়েছে, টানা কয়েক দিন ধরেই বাতেন নির্বিবাদে বনের জায়গা দখল করে আসছিলেন। মোবাইল ফোনে বাতেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি পাহাড় কাটি নাই বা বন বিভাগের কোনো জমি দখল করি নাই। আমার নিজের জায়গা দিয়েই ড্রেন করছিলাম লেবুর বাগানে যাতে পাহাড়ি ঢলে পানি না ঢোকে।’ ড্রেন খুঁড়তে ভেকু কেন? এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

সর্বশেষ খবর