বগুড়ার সোনাতলা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সৌরচালিত সেচ পাম্পে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। এতে উৎপাদন ও উৎপাদন খরচ দুটোই কৃষকের হাতের নাগালের মধ্যে এসেছে। এবার উপজেলায় ৭০টি সৌরচালিত সেচ পাম্প দিয়ে শত শত একর জমির ইরি-বোরো ধানখেতে সেচ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত ইনফ্রাস্টট্রাকচারের (ইডকল) তদারকিতে সোলার পাম্প স্থাপন করেছে ছালেক সোলার পাওয়ার লিমিটেড। প্রতিটি পাম্প স্থাপন করতে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। প্রতিটি পাম্পের আওতায় রয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ বিঘা জমি। প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দিতে কৃষককে ১৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, শ্যালো ও বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পের মালিকদের ধান কাটার পর ১৬ আঁটিতে চার আঁটি দিতে হয়। পক্ষান্তরে সৌরচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধায় উৎপাদন খরচ খুবই কম। ফলনও হয় বেশ ভালো।সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, কৃষকদের সৌরচালিত সেচ সুবিধার প্রতি আগ্রহ বেশি। এই পদ্ধতির সেচ সুবিধায় পানি সংকট দেখা দেয় না। ফলন হয় বিঘাপ্রতি ২২ থেকে ২৫ মণ। কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক পরামর্শ এবং রাসায়নিক সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোনাতলায় ৭০টিসহ উত্তরাঞ্চলের ১০ জেলায় ১৭১টি সৌরচালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।