বগুড়া জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক সাঈদ হোসেনকে ক্লোজ করে রাজশাহীর কারা উপ-মহাপরিদর্শকের দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এক হাজতির স্ত্রীকে অফিসে ডেকে স্বামীকে অন্য জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে তাকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ডিআইজি প্রিজন বগুড়া কারা পরিদর্শনে এলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।

জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জেলা কারাগারের জেল সুপারের সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক সাঈদকে বদলি করা হয়েছে। কী কারণে বদলি করা হয়েছে তা তাকে জানানো হয়নি।

বগুড়ার জেলার শরিফুল ইসলাম জানান, তত্ত্বাবধায়ক সাঈদ হোসেনকে ক্লোজ করা হয়েছে। কী কারণে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানান। তবে তিনি জানান, গত ৩০ মার্চ প্রিজন মহোদয় বগুড়া কারাগারে আসেন। আর ৩১ মার্চ বগুড়ার তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়কে এক পত্রের মাধ্যমে রাজশাহীর কারা উপ-মহাপরিদর্শকের দফতরে সংযুক্ত করার বিষয়ে বলা হয়েছে। এর বেশি কিছু তার জানা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। এরপর ২ এপ্রিল তিনি বগুড়া থেকে সংযুক্ত স্থলে রওনা হন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের এক যুবক একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তার স্ত্রী বিভিন্ন সময় তাকে দেখতে কারাগারে আসেন। তত্ত্বাবধায়ক তার অফিস রুমে বসে সিসি ক্যামেরায় হাজতি-কয়েদিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা স্ত্রী বা অন্য দর্শনার্থীর প্রতি নজরদারি করতেন। পরে তত্ত্বাবধায়ক ওই নারীকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে কথা বলেন এবং তার স্বামীকে অন্য জেলে পাঠানোর কথা বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তত্ত্বাবধায়ক ওই নারীকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ডিআইজি প্রিজন অসীম কান্ত পাল কারাগার পরিদর্শনে এলে বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।