খাবারের অভাবে অভুক্ত থাকছে জেলা শহর ময়মনসিংহে অগণিত কুকুর। শহরের বাসিন্দারা বলছেন দেখলেই মায়া পড়ে যায়। নিত্যকার হাঁকডাক নেই। অকারণে দাপট দেখানোটাও মনে হয় ভুলে গেছে। এখন সড়কের পাশে চুপটি বসে থাকে। হেঁটে চললেও পা যেন আগায় না। ভাসা ভাসা চোখ দুটিতে থাকে খাবারের সন্ধান। শরীরটাও যেন শুকিয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ নগরী কিংবা জেলার উপজেলা শহরগুলোতে পথকুকুরগুলোকে দেখা মিলছে এমনই অচেনা চেহারায়। কারণ, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সড়কে মানুষের আনাগোনা কম। দুয়ারের দরজাও থাকে বন্ধ প্রয়োজন ব্যতীত। শূন্য হয়ে পড়ছে এঁটোকাঁটা বোঝাই আবর্জনার চেনা স্তূপগুলোও। বন্ধ রয়েছে শহরের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল কাদেরও জানিয়েছেন, এ জেলায় কুকুরের পরিসংখ্যান না থাকলেও কয়েকশ হতে পারে। এসব কুকুরের জন্য ‘ডাস্টবিনে খাবার নেই। বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লার দাবি, জেলার ‘সড়কে পাশে পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে যে প্রাণীগুলো বেঁচে থাকে তাদের জন্য সরকারিভাবে সব ভেটেরিনারি হাসপাতালকে বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। যা উপজেলা পর্যায়ের ভেটেরিনারি সার্জনরা মনিটরিং করবেন। গত রবিবার রাতে স্থানীয় কলেজ রোড মোড় থেকে হাসপাতালের সামনেসহ স্টেশন রোড পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ক্ষুধার্ত বেওয়ারিশ কুকুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন শহরের বাসিন্দারা। এদিকে গতকাল দুপুরে নগরীর আকুয়া এলাকায় দেখা মেলে সিরাজ হাসান নামের এক যুবকের। পঁচিশোর্ধ্ব ওই যুবক বিশটির বেশি কুকুরকে খাওয়াচ্ছিলেন।
সেসময় দেখা মেলে কয়েকটি বিড়ালেরও। তিনি বলেন, ‘সড়কে এখন যানবাহন নেই বললেই চলে। কিন্তু খাবার কোথায়? নিজের চেষ্টায় যতটা পারি করছি।