সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বিপাকে চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষিরা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

বিপাকে চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষিরা

চুয়াডাঙ্গার একটি ফুলের বাগান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফুলচাষ করে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষিরা। শ শ একর জমির ফুল জমিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষিরা। বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে তাদের। এমনকি বেশিরভাগ ফুলচাষির হাতে নতুন করে চাষাবাদ করার টাকাও থাকবে না। চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষিদের দাবি, ফুলচাষিদের বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে আর্থিক অনুদান প্রদানের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন মৌসুমে বিক্রির উদ্দেশ্যে ফুলচাষিরা ফুলের আবাদ করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফুল বিক্রি করার পথ তাদের হাতে নেই। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় কৃষকরা তাদের ফুল বিক্রি করতে পারছেন না।  ফুলচাষি শাহীন আলী জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশিরভাগ ফুল ঢাকায় পাঠানো হয়। এ বছর সে রাস্তাও বন্ধ। যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং চাহিদা না থাকায় ফুল ঢাকাতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। কৃষিপণ্য হিসেবে কোনোভাবে ঢাকায় ফুল পাঠানো গেলেও ক্রেতা পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন ফুলচাষিরা।  চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জ গ্রামের ফুলচাষি আলম আলী জানান, একের পর এক লোকসান দিতে দিতে ফুলচাষিদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নতুন করে চাষ করার মতো টাকা-পয়সাও কৃষকদের হাতে নেই। চুয়াডাঙ্গার ফুলচাষিদের পড়তে হবে বড় ধরনের বিপর্যয়ে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, এ সময় রজনীগন্ধ্যা ও গাঁদা ফুল বেশি বিক্রি হয়। চুয়াডাঙ্গার বেশিরভাগ কৃষক এই দুটি ফুলের চাষ করেছেন। এছাড়াও গোলাপ এবং অন্যান্য আরও কিছু ফুলচাষ আছে। ফুল কৃষিপণ্য। কৃষিপণ্য পরিবহনে বাধা নেই। কিন্তু সমস্যা হলো এবারের নববর্ষে ফুল বিক্রি হবে না বললেই চলে। কৃষকের জন্য অবশ্যই তা ক্ষতির কারণ হবে।

সর্বশেষ খবর