সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বেনাপোল স্থলবন্দরের বেসরকারি ব্যাংক বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। টাকার অভাবে বন্দর থেকে মালামাল খালাস করতে না পারায় আটকা পড়েছে কোটি কোটি টাকার পণ্য। কাস্টমস, বন্দর খোলা থাকলেও ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী মহলে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। বেনাপোল বন্দর এলাকায় ১৮টি ব্যাংক রয়েছে যার অধিকাংশ এখন বন্ধ। সরকার বন্দর সচল রাখতে সপ্তাহে সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশনা দিলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। বেনাপোলে শুধু খোলা রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক শাখা। করোনা আতঙ্কের মধ্যেও বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতিনিয়ত খালাস হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। শুধু ব্যাংক বন্ধ থাকায় আমদানিকারকরা বেনাপোলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারছেন না। বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার এ আর এম রকিবুল হাসান জানান, করোনার মধ্যেও আমরা সপ্তাহে ৫ দিন ব্যাংক খোলা রেখে গাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। অন্যগুলো কেন বন্ধ রাখা হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। বেনাপোল পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার রিপন কুমার জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ব্যাংক বন্ধ রেখেছি। গ্রাহকদের অসুবিধা হলে আমাদের কিছু করার নেই। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান জানান, সরকার বেনাপোল বন্দর থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে। করোনার কারণে বন্দর এলাকার অধিকাংশ ব্যাংক বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস করতে পারছি না। অবিলম্বে সব ব্যাংক খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।